শুভ্রা ছিল একটি ছোট্ট মেয়ে, যার চোখে ছিল অসীম স্বপ্ন। সে গ্রামের এক কোণে ছোট্ট একটি বাড়িতে থাকত। প্রতিদিন সকালে, শুভ্রা তার মায়ের সাথে নদীর ধারে হাঁটতে যেত। নদীর জল ছিল স্বচ্ছ, আর তার পাশে ছিল সবুজ ঘাসের মাঠ। শুভ্রা নদীর জলে তার প্রতিচ্ছবি দেখে হাসত, আর তার মা তাকে বলত, “তুমি একদিন অনেক বড় হবে, মা।”
একদিন, শুভ্রা নদীর ধারে হাঁটতে হাঁটতে একটি ছোট্ট পাখির ছানা দেখতে পেল। পাখিটি গাছ থেকে পড়ে গিয়েছিল এবং উড়তে পারছিল না। শুভ্রা পাখিটিকে তুলে নিয়ে তার মায়ের কাছে নিয়ে গেল। তার মা বলল, “আমরা পাখিটিকে সুস্থ করে তুলব।” শুভ্রা পাখিটিকে খুব যত্ন করে রাখল, তাকে খাওয়াল এবং তার ডানা মেরামত করল।
কয়েকদিন পর, পাখিটি আবার উড়তে সক্ষম হল। শুভ্রা পাখিটিকে মুক্ত করে দিল, আর পাখিটি উড়ে গিয়ে আকাশে মিলিয়ে গেল। শুভ্রা আকাশের দিকে তাকিয়ে বলল, “আমি একদিন আকাশে উড়ব, মা।”
শুভ্রার মা তার মাথায় হাত বুলিয়ে বলল, “তুমি অবশ্যই উড়বে, মা। তোমার স্বপ্ন পূরণ হবে।”
শুভ্রা বড় হয়ে একজন পাইলট হল। সে আকাশে উড়ে বেড়াত, আর প্রতিবার যখন সে আকাশে উড়ত, তখন সে তার ছোট্ট পাখির কথা মনে করত। শুভ্রা জানত, স্বপ্ন পূরণের জন্য সাহস আর অধ্যবসায় দরকার।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন